সিলেটে লন্ডন প্রবাসী আব্দুল হক মোবাশ্বিরকে (৫৯) খুন করেছে এক তরুণী (১৯)। এ ঘটনায় ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আড়াইটায় দক্ষিণ সুরমার চান্দাই থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতে স্বীকারোক্তিতে তিনি বলেন, বিয়ের প্রায় ৫ বছরেও তিনি সামাজিকভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেননি। এমন স্বামী থাকা না থাকা সমান। তাই খুন করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত তরুণী দক্ষিণ সুরমার চান্দাইয়ের রবিউল আলমের মেয়ে পান্না। নিহত ব্যক্তি মোগলাবাজার থানার সিলাম শেখপাড়ার মৃত ফজলুল হকের ছেলে মোবাশ্বির।
গ্রেপ্তারের পরপরই পান্না বেগম নামে ওই তরুণী খুনের ঘটনা পুলিশকে বলেন। এরপর আদালতে গিয়ে হত্যার কারণসহ সব রহস্য স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
পান্না তার স্বীকারোক্তিতে জানান, বয়স বৈষম্য, নিজের স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও মোবাশ্বির তাকে নানা প্রলোভনে বিয়ে করেন। প্রায় ৫ বছরেও তিনি সামাজিকভাবে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেননি। অথচ লন্ডনে সন্তান রেখে আসা প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে সংসার করছেন। এমন স্বামী থাকা না থাকা সমান। তাই খুন করেছেন মোবাশ্বিরকে। গত শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ সুরমার ময়ূরকুঞ্জ কমিউনিটি সেন্টারের পার্শ্ববর্তী আব্দুল হক মোবাশ্বিরের মালিকানাধীন হাউজিং প্রকল্পের টিনশেডেই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
এদিকে শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টায় মোবাশ্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মোবাশ্বিরের বড়ভাই মুহিবুল হক দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা দায়ের করেন। মোবাশ্বির লন্ডন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবেদ রাজা ও সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম তালাত আজিজের মেজো ভাই। মোবাশ্বিরও লন্ডনে থাকতেন। গত কয়েক বছর তিনি দেশে অবস্থান করছিলেন লন্ডনে স্ত্রী-সন্তান রেখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন